জয়ের বউ ইহুদিও নয় খ্রিস্টানও নয় মুসলিম
লিখেছেন লিখেছেন ইসহাক মাসুদ ২০ জুন, ২০১৩, ১২:০০:২৮ দুপুর
গত কাল ১৯ জুন ২০১৩ইং সংসদে আমাদের প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের কথার রেশ ধরে পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেছেন, আমার (শেখ হাসিনার) ছেলের বউ ইহুদী না খ্রিষ্টান। কথাটি শুনে আমার মনে খটকা লেগে যায়। কারন প্রায় চার মাস পূর্বে একটি পত্রিকায় সংবাদে দেখলাম, প্রধান মন্ত্রীর তনয় সজিব ওয়াজেদ জয়ের সাথে তার স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভামায়ারের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। ৪ মাস পর প্রধান মন্ত্রী ক্রিস্টিনাকে কি ভাবে ছেলের বউ হিসাবে স্বীকার করলেন? সংবাদে আরো বলা হয়েছে, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যানের আজিজ খানের মেয়ে আয়শা খানকে বিয়ে গোপনে বিয়ে করেছেন জয়। বিগত চার মাসে সজিব ওয়াজেদ জয় দেশে বার কয়েক দেশে ফিরলেও ক্রিস্টিনা আসেননি। তাহলে কি প্রধান মন্ত্রী জাতীকে অন্ধকারে রাখার জন্য মিথ্য তথ্য দিয়েছেন। নাকি ক্রিস্টিনার সাথে সমযোতা এবং সামিট গ্রুপের সাথে বা আয়শার সাথে জয়ের কোন ধন্ধ সৃষ্টি হয়ে ছাড়াছাডি হয়ে গিয়েছে। তাই প্রধান মন্ত্রী সংসদে অপ্রাসঙ্গীক বিষয় " আমার পুত্রের বউ ইহুদী নয় খ্রিস্টান" এর অবতারণা করছেন। বিষয়টি প্রধান মন্ত্রী না আনলেও পারতেন। আনার পিছনে কোন না কোন কারন অবশ্য আছে।
আমি সকলে অবগতির জন্য সংবাদের কিছু অংশ নিম্নে উল্লেখ করছি,
সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজিজ খানের কন্যা আয়েশাকে চুপে চাপে বিয়ে করলেন জয়। গুলশানের এক বাড়িতে জানুয়ারীর ৪ তারিখে এ কীর্তি হয়। আয়েশা আজিজ খান সামিট পাওয়ার লিমিটেডের ফিন্যান্স ডিরেক্টর হিসাবে বাবার সাথে ব্যবসায় আছেন।
১৯৮১ সালে জন্ম হওয়া আয়েশা লন্ডন থেকে বিবিএ এবং নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ পাশ করে বাবার ব্যবসায় (সামিট পাওয়ারে) যোগ দেন। জয়ের সাথে তার বয়সের ব্যবধান ১০ বছর। এটা জয়ের তৃতীয় বিয়ে হলেও আয়েশার কয় নম্বর তা জানা যায় নি। জয় ভারতের নৈনিতালে থাকতেই ভারতীয় এক শিখ মেয়েকে বিয়ে করে। হাসিনা যায় বৌ আনতে, কিন্তু সে মুসলমান হবে না বিধায় নিজের রাজনীতি রক্ষার্থে সে বিয়ে ভাঙ্গতে হুকুম দেয় ছেলেকে। সংসার ভাঙ্গা জয় চলে যায় আমেরিকায়। সেখানে ঘুরাঘুরি পরে জুটে যায় রিচার্ড ডি লুমির পরিত্যাক্ত স্ত্রী ক্রিস্টিনা ওভামায়ারকে। আমেরিকায় নাকি ঐটা কোনো ব্যাপার না। যখন তখন ধরে... আর ছাড়ে। ২৬ অক্টোবর ২০০২ থেকে বারো বছর চললো টালমাটালের সংসার। এর মধ্যে অনেক মারামারি, মদামদি, অবৈধ অস্ত্র নিয়ে ধরা খাওয়া, র্যাকলেস ড্রাইভিং, ফ্যামিলি ভায়োলেন্সসহ ৮/১০টা মামলায় কয়েক মাস জেলে থাকলো জাতীয় নাতি।
হালে আশেয়ার সাথে জয়ের মেলামেশা শুরু হওয়ার পরেই মায়ের উস্কানিতে জয় তার মার্কিনী স্ত্রী ক্রিস্টিনার সাথে গন্ডগোল শুরু করে। ক্রিস্টিনা জয়ের পরকীয়ার খবর পায়, তার সাথে যোগ হয় বাংলাদেশ থেকে লুটে আনা মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের ঝামেলা, পদ্মাসেতুর কয়েক মিলিয়ন ডলার কানাডা থেকে আনার পরে আমেরিকার এন্টি-মানিলন্ডারিং এজেন্সি এবং এফবিআই ইনভেস্টিগেশন শুরু করলে ক্রিস্টিনা মারাত্মকভাবে ক্ষেপে যায় এবং ডিভোর্স ফাইল করে। জয়ের মা উস্কানি দিয়ে জয়কে দেশে নিয়ে আসে। ভার্জিনিয়া ফ্যামিলি কোর্টে স্যাটাস্যাট হয়ে যায় সেদিন। ২ মিলিয়ন ডলার ড্যামারেজ এবং আর্লিংটনের ২টা বাড়ি ক্রিস্টিনা ও মেয়ে সোফিয়াকে লিখে দিয়ে আসে জয়। ব্যস, কম্ম কাবাড়! ইহুদি স্ত্রীর দুর্নাম তো ঘুচানো গেলো। এবার আর বাংলাদেশে রাজনীতি করতে ও ক্ষমতায় বসতে কোনো অসুবিধা হবে না ডিজিটাল নাতির। আয়েশাকে ঘরে তোলার সাথে এবারে বাড়তি হিসাবে চলে আসে সামিট গ্রুপের কোটি কোটি টাকার ব্যবসা।
মূলতঃ অনেক দিন থেকেই জয় সামিট গ্রুপের দায়িত্বে বসে গেছে। হবু শ্বশুর আজিজ খান তার ব্যবসার উন্নতি, ২২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্লান্ট নির্মানের কাজ পাওয়া, কৃত্রিম উপগ্রহ প্রজেক্ট ইত্যাদির জন্য হাইভোল্টেজ জয়ের স্মরণাপন্ন হয়। আর ঘুসঘাস ঠিক করার জন্য আজিজ খান এগিয়ে দেয় মেয়ে আয়েশাকে। কচি মাংশের স্বাদ যেমন বাঘের, এরপরে তেমন ঘটনাই ঘটলো।
বিষয়: বিবিধ
১১৫৫৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন